, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


৯ বছর পর সমাপ্ত হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পের পুরো কাজ

  • আপলোড সময় : ০৫-০৭-২০২৪ ১১:৪১:৪৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০৭-২০২৪ ১১:৪১:৪৫ পূর্বাহ্ন
৯ বছর পর সমাপ্ত হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পের পুরো কাজ
এবার পদ্মার বুকে তৈরি হওয়া সেতু দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হন বহু মানুষ। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে দেওয়া এই সেতু এখন একটি পর্যটন স্থানও। আর্থিক, প্রকৌশল এবং রাজনৈতিক ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ২০২২ সালে দীর্ঘতম সেতুটি উদ্বোধন করার সঙ্গে সঙ্গে বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের। এ সেতুর জন্য বহুকাল অপেক্ষায় ছিল পদ্মার দুই পারের মানুষসহ সমগ্র দেশবাসী।

গত ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে সড়কপথে বাংলাদেশে যোগাযোগের নতুন অধ্যায় শুরু হয়। এরপর ২০২৩ সালে সালে চালু করা হয় রেলপথ। এবার সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্বপ্নের এ সেতুর প্রকল্পের কাজের সমাপনী ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (শুক্রবার) দুপুর ৩টায় মাওয়া উত্তর থানা এলাকায় এক সুধী সমাবেশের মধ্য দিয়ে সেতু প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে।

দেশের দীর্ঘতম এ সেতুর তৈরিতে অনেক বাধা-বিপত্তি পার করতে হয়েছে। এ সেতু প্রকল্প পুরোটাই হয়েছে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে। বিশ্ব ব্যাংকসহ চারটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের ওপর ভর করে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির কথা বলে এ প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সংস্থাগুলো।

পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা সিদ্ধান্ত নেন নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করবেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৪ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে সেতুর কাজ শুরু হয়। মূলত ২০১২ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রচুর দুর্নীতি হচ্ছে বলে বিশ্বব্যাংক অভিযোগ করে যদিও বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে ১.২ বিলিয়ন মার্কিনি ডলার সাহায্য দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

এদিকে দুর্নীতির সাথে জড়িত হিসেবে সন্দেহজনক সব সরকারি কর্মকর্তাদের অবিলম্বে ছুটিতে না পাঠালে বিশ্বব্যাংক সব সাহায্য বন্ধ করার হুমকিও দেয়। বিব্রত বাংলাদেশ সরকার সাথে সাথেই ‘সন্দেহজনক’ সব সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটিতে পাঠালেও বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুত ১.২ বিলিয়ন ডলার সাহায্য ফিরিয়ে নেয়। পাঁচ বছর পর কানাডার আদালতের রায়ে পদ্মা সেতুর সাথে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ গ্রহণের সব অভিযোগই মিথ্যা প্রমাণিত হয় এবং নির্মাণ সহযোগী কোম্পানি এস,এন,সি, লাভালিনের তিন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও পূর্বের ‘ঘুষ প্রদানের অভিযোগ’ থেকে মুক্ত দেওয়া হয়। 

এককথায় অসীম ক্ষমতাশালী বিশ্বব্যাংকের সাথে ‘পদ্মা সেতু’ প্রশ্নে বাংলাদেশের বিজয়ও অনেকটা দাভিদ ও গলিয়াথের লড়াইকেই মনে করিয়ে দেয়। সাত বছরের নির্মাণ কাজ শেষে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু গত ২৫ জুন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুন রোববার সকালে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় পদ্মার বিশাল জলরাশির উপর নির্মিত সেতুটি। যেটি দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত করে। 
সর্বশেষ সংবাদ